শেফাইল উদ্দিন:

নীল জলরাশি, সবুজ পাহাড় আর সাদা মেঘের মিলনমেলা মানেই নিলাদ্রী লেক ।
প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশের হাতছানি
কক্সবাজারের রামু উপজেলার ঈদগডের পার্শ্ববর্তী বাইশারী ইউনিয়নে কাগজি খোলার এ নীলাদ্রি লেক। পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়নে। দুইপাশে পাহাড়ের মাঝ দিয়ে যেতে হয় এ নীলাদ্রি লেকে । পাহাড় ও নদীর অপরূপ সান্নিধ্য এখানে। নদীতে নৌকা ভ্রমণে পাহাড় নদীর মিতালি । চারপাশে সবুজের ঘেরা পাহাড়। দৃষ্টিনন্দন এই জায়গাটি দেখলে মনে হয় যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হাতছানি দিয়ে ডাকছে। কক্সবাজারের ভেতরে লুকিয়ে থাকা দৃষ্টিনন্দন রূপ–লাবণ্যে ভরা এক লীলাভূমি। জায়গাটিতে একবার যাদের পা পড়েছে, তাদের অনেকের মুখে দার্জিলিংয়ের তুলনা। এখন বিপুল পর্যটক টানছে অচেনা এই দার্জিলিং। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা লীলাভূমি বাংলাদেশে দ্বিতীয়টি নেই। যেখানে মেঘালয়ের মতো পাহাড়–পর্বত, সবুজে ঘেরা শুভ্র মেঘের গালিচা মুহূর্তেই শরীর–মন সতেজ করে দেয়।
বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে এই নীলাদ্রি লেক দেখতে আসা কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কায়ছারুল হক জুয়েলের সাথে কথা হলে জানান, অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই নিলাদ্রী লেক । এখানে এসে খুবই ভালো লাগলো। ঈদগাঁও উপজেলা থেকে নিলাদ্রী লেকে পিকনিকে আসা ঈদগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯৪ ব্যাচ এবং শিক্ষক সংগঠনের নেতা আতাউল্লাহ, শিক্ষক ছৈয়দ করিম, শিক্ষক সমির সহ অনেকের সাথে কথা হলে জানান,
এ লেক দেখে আমরা মুগ্ধ। কক্সবাজারের মধ্যে এত সুন্দর জায়গা আছে কল্পনা করতে পারিনি। অনেক ভালো লেগেছে আমাদের ।
যদি না আসতাম, হয়তো জীবনে এত সৌন্দর্য দেখার সৌভাগ্য কখনো হতো না। সবমিলিয়ে অসাধারণ একটি জায়গা।’ অনেকেই জানান, এই লেকে পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং স্থানীয়দের আন্তরিকতা পর্যটন শিল্পকে বিকশিত করবে।
সকাল সাতটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত নদীভ্রমণ সবার জন্য উন্মুক্ত । নতুন হওয়ায় এখনো তেমন গোছানো পর্যটন বান্ধব পরিবেশ তৈরি হয়নি। তবে পর্যটনের উন্নয়নে কাজ চলছে বেশ
। প্রতিদিনই হাজারো পর্যটক ভিড় জমছে এই নীলাদ্রি লেকে।
ঢাকা বা অন্য যে জায়গা থেকেই আসেন কক্সবাজারগামী গাড়িতে করে ঈদগাঁও বাসস্ট্যান্ডে নেমে যেতে হবে। ঈদগাঁও-ঈদগড়-বাইশারী সড়ক হয়ে সিএনজি বা জিপ রিজার্ভ করে সরাসরি এই পার্কে যেতে পারবেন।